Noakhali Central Shohid Minar

নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার

Noakhali

Shafayet Al-Anik

·

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পরিচিতি

ভাষা আন্দোলনের সাক্ষী নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নোয়াখালী জেলা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এই শহীদ মিনারটি প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হলেও পরবর্তীতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিকবার স্থান পরিবর্তন করে বর্তমানে এটির পাশে স্থাপন করা হয়েছে। জেলা জজ আদালত।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালি জাতির প্রথম স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। এ আন্দোলনে সাড়া দিয়ে নোয়াখালীর ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে। আইয়ুব শাসকগোষ্ঠীর নজর এড়িয়ে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে বেগমগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একদল প্রগতিশীল যুবক মাটি দিয়ে জেলার প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করে। ওইদিন পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে নোয়াখালী জেলায় প্রথম শহীদ মিনার দিবস পালিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৩ সালে ইট ও সিমেন্ট দিয়ে শহীদ মিনারটি স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হলেও স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে শহীদ মিনারটি জেলা জজ আদালতের পাশে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি শিশু পার্কে স্থানান্তর করা হয়। , জেলা জজ আদালত সংলগ্ন। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই শহীদ মিনারের উন্মুক্ত মঞ্চে বিশেষ বিশেষ দিনে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলার আয়োজন করা হয়।

কিভাবে যাবেন

ঢাকার মিরপুর, সয়দাবাদ ও জিগাতলা থেকে হিমাচল, বিলাস, একুশে, ভিআইপি ও শাহী এক্সপ্রেস বাসে নোয়াখালী যাওয়া যায়। বাস ভাড়া পড়বে 500 থেকে 1000 টাকা। নোয়াখালী জেলার যেকোনো প্রান্ত থেকে রিকশায় নোয়াখালী শহীদ মিনারে যাওয়া যায়। এছাড়া ট্রেনে আসতে চাইলে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কোস্টাল এক্সপ্রেস নিয়ে নোয়াখালী আসতে পারেন। ট্রেনের ভাড়া ক্লাস ভেদে ৩১৫-৫৯৮ টাকা।

কোথায় থাকবেন

মাইজদী শহর ও নোয়াখালীর চৌমুহনীতে পূবালী হোটেল, হোটেল আল মোর্শেদ, হোটেল মৌচাক, হোটেল লিটন, আজমির হোটেল, হোটেল নিজাম, হোটেল রাফসান, হোটেল আর ফারহান, হোটেল রয়েল, হোটেল সুগন্ধ্যা ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি আবাসিক হোটেল রয়েছে।

কোথায় খাবেন

নোয়াখালীতে খাবার হোটেলের মধ্যে রয়েছে জনতা হোটেল, হাজী বিরিয়ানি, রহমানিয়া হোটেল, স্কাই ভিউ হোটেল, দারুচিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং ফাইভ স্টার হোটেল।

নোয়াখালী জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান

নোয়াখালীর অন্যান্য আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে মুছাপুর ক্লোজার, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন লাইব্রেরি ও মেমোরিয়াল মিউজিয়াম, গান্ধী আশ্রম, নোয়াখালী ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক, বজরা শাহী মসজিদ এবং নিঝুম দ্বীপ।
ফিচার ইমেজ: শুভ আকমল

Related Post

বজরা শাহী মসজিদ

বজরা শাহী মসজিদ

নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নে নির্মিত ঐতিহাসিক মসজিদটির নাম বজরা শাহী মসজিদ। বজরা শাহী মসজিদ দিল্লির ...

শাফায়েত আল-অনিক

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

নোয়াখালী ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক

নোয়াখালী ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক

নোয়াখালী জেলার ধর্মপুর গ্রামে প্রায় ২৫ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত হয়েছে নোয়াখালী ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক। সম্পূর্ণ ব্যক্ ...

শাফায়েত আল-অনিক

৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিঝুম দ্বীপ

নিঝুম দ্বীপ

নিঝুম দ্বীপ নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের একটি ছোট দ্বীপ। প্রায় 14,050 একর আয়তনের এই দ্বীপে কামলার ...

শাফায়েত আল-অনিক

১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp (10AM - 10PM) or Email us.