ঢাকা থেকে বাসে করে নিঝুম দ্বীপ নোয়াখালী
বাসে করে নিঝুম দ্বীপ যেতে হলে নামতে হবে নোয়াখালীর সোনাপুরে। ঢাকা সয়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে একুশে এক্সপ্রেস, মুনলাইন এন্টারপ্রাইজ, হিমাচল এক্সপ্রেস বাসে করে নোয়াখালীর সোনাপুর যেতে পারেন। ধানমন্ডি জিগাতলা কাউন্টার থেকে একুশে পরিবহনের বাস ছাড়ে সোনাপুর, নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রাত ১০টা ২০ মিনিটে। এসব বাসের নন-এসি ও এসি কোচের ভাড়া ৫৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা।
নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে চেয়ারম্যান ঘাটে যেতে হবে সিএনজি বা অন্যান্য যানবাহনে, সিএনজি রিজার্ভ করে চেয়ারম্যান ঘাটে আসতে খরচ পড়বে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। একটি সিএনজিতে সর্বোচ্চ ৫ জন বসতে পারবেন। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে হাতিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন সী-ট্রাক, ট্রলার ও স্পিড বোট পাওয়া যাবে। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে হাতিয়া পর্যন্ত সী-ট্রাক, ট্রলার ও স্পিড বোটের ভাড়া জনপ্রতি 90, 120-150 এবং 400 টাকা। হাতিয়া নলচিরা ঘাটে নেমে একটি মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে মোক্তারিয়া ঘাটে পৌঁছান, মোটরসাইকেল ভাড়া পড়বে দুইজনের জন্য 400 থেকে 450 টাকা। মোক্তারিয়া ঘাট থেকে দুই জনের ভাড়া পড়বে ১০০ টাকা।
দ্রষ্টব্য: সি-ট্রাক প্রতিদিন সকাল ৮টায় নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট থেকে ছাড়ে এবং নলচিরা থেকে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাটে ফিরতি সী-ট্রাক সকাল ১০টায় ছাড়ে।
ঢাকা থেকে ট্রেনে নোয়াখালী থেকে নিঝুম দ্বীপ
ঢাকা থেকে ট্রেনে করে নিঝুম দ্বীপ যেতে হলে নোয়াখালীর মাইজদী ট্রেন থেকে নামতে হবে। উপকুল এক্সপ্রেস নামের একটি আন্তঃনগর ট্রেন মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের ৬ দিন বিকেল ৩:১০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, মাইজদীতে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৬ ঘণ্টা। ট্রেনের টিকিটের ভাড়া ক্লাস ভেদে ৩১৫ টাকা।
মাইজদী থেকে চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া পড়বে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। আর স্থানীয়ভাবে আসতে হলে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে উপরোক্ত উপায়ে নিঝুম দ্বীপে যাওয়া যায়।
ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে নিঝুম দ্বীপ
ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় একটি মাত্র লঞ্চ হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরদিন সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে লঞ্চটি হাতিয়ার তমুরদ্দি ঘাটে পৌঁছায়। তমুরদ্দি ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ফিরতি লঞ্চ ছেড়ে যায় দুপুর সাড়ে ১২টায়। লঞ্চের ডেক ভাড়া - 350 টাকা, একক কেবিন - 1200 টাকা এবং ডাবল কেবিন - 2200 টাকা।
হাতিয়ার তমুরদ্দি ঘাটে নেমে মোটরবাইকে করে মোক্তারিয়া ঘাটে আসতে হবে। মোক্তারিয়া ঘাটে আসতে দুইজনের ভাড়া পড়বে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকা। নিঝুমদ্বীপের মোক্তারিয়া ঘাট থেকে বন্দরটিলা ঘাটে যেতে জনপ্রতি ট্রলার ভাড়া পড়বে ২২ টাকা। আর বন্দরটিলা ঘাট থেকে মোটরসাইকেলে করে বাজারে যেতে দুইজনকে খরচ করতে হয় ১০০ টাকা।
আবার তমুরদ্দি ঘাট থেকে সরাসরি নিঝুমদ্বীপ বাজারে যেতে পারেন। প্রতিদিন সকাল ১০টায় তমুরদ্দি ঘাট থেকে কিছু মাছ ধরার ট্রলার সরাসরি নিঝুম দ্বীপ নামর বাজারে যায়, সেগুলো জনপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় ভাড়া নেওয়া যায়। এছাড়া ট্রলার রিজার্ভ নিয়ে নিঝুম দ্বীপের নামার বাজারে যেতে ট্রলারের আকার ভেদে ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা লাগতে পারে।
বিশেষ নির্দেশনা: 1. যদি কোনো কারণে টুলটি তমুরুদ্দি এমভিতে চলে যায়। ফারহান ৩/৪ লঞ্চ করে, কিন্তু একই দিনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এমভি টিপু-৫ বা এমভি পানামা লঞ্চ তজুমদ্দিন বা মনপুরা ঘাটে আবার এমভি। ফারহান ৩/৪টি লঞ্চ ধরতে পারে। আপনি চাইলে মনপুরা ঘাট থেকে ট্রলারে করে সহজেই হাতিয়ার তমুরুদ্দি ঘাট যেতে পারেন।
2. এবং যদি এমভি টিপু-5 এবং এমভি পানামা লঞ্চটি মিস করে তবে দ্রুত এমভি ফারহান-6 বা এমভি ফারহান-7 লঞ্চে চড়ে। এসব লঞ্চ ছাড়ার সময় সাড়ে ছয় মিনিট হলেও একটু দেরিতে ছাড়ে। এই লঞ্চে করে তজুমদ্দিন ঘাটে যায় এমভি। ফারহান-১/১ লঞ্চ ধরতে পারবে। তজুমদ্দিন ঘাট থেকে ট্রলারেও হাতিয়ার তমুরুদ্দি ঘাট যাওয়া যায়।
এই ৬টি লঞ্চ একই মালিকের। প্রয়োজনে নিচের নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। এমভি ফারহান 3 – 01785-630365 , 01785-630366 , 01785-630367 এমভি ফারহান 4 – 01785-630368 , 01785-630369 , 01785-6303
চাতরাঘাম সদরঘাট থেকে নিঝুম দ্বীপ পর্যন্ত লঞ্চ
এমভি বার আউলিয়া, এমভি আব্দুল মতিন ও এমবি মনিরুল হক স্টিমার চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে শুক্র ও রবিবার ছাড়া সপ্তাহে তিন দিন সকাল ৯টায় হাতিয়া নলচিরা ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সদরঘাট, চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়ার ভাড়া: চেয়ার ক্লাস - 350 টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণী - 1110 টাকা এবং প্রথম শ্রেণী - 2215 টাকা।
মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে হাতিয়ার নলচিরা থেকে মোক্তারিয়া ঘাটে পৌঁছে উপরে উল্লিখিত পথে নিঝুম দ্বীপে পৌঁছাতে পারেন।