শমসের গাজীর বাঁশের কেল্লা রিসোর্ট (শমসের গাজীর বাঁশের কেল্লা রিসোর্ট) ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রাম বাংলার লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে নির্মিত হয়েছে। নবাব সিরাজদৌল্লার শাসনামলে ভান্তীর বাঘ নামে পরিচিত শমসের গাজী একধর ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের রাজা, একজন ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী এবং ত্রিপুরার রোশনাবাদ পরগণার কৃষক বিদ্রোহের নায়ক। সোনাপুরে শমসের গাজীর স্মৃতিসৌধকে কেন্দ্র করে প্রায় ৫ একর জায়গার ওপর শৈল্পিক বিন্যাসে এই রিসোর্টটি নির্মাণ করেন তার উত্তরসূরিরা।
সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝখানে থাইল্যান্ড ও জাপানের রেস্ট হাউসের আদলে নির্মিত গাজীর গাজী বাঁশের কেল্লা রিসোর্ট। রিসোর্টের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক স্থাপত্যে বাঁশের ব্যবহার ছাড়াও রয়েছে বাঁশের বিভিন্ন আসবাবপত্র ও শিল্পকর্ম। রিসোর্টে ঢুকেই চোখে পড়ে একতান নামের একটি সুন্দর ভাস্কর্য। আর রিসোর্টের আঙিনায় রয়েছে সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি সারি খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি বাড়ির আদলে গড়ে তোলা বাঁশের মাচাং ঘর।
শমসের গাজী বাঁশের কেল্লা রিসোর্টে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, পড়ার ঘর, গেস্ট রুম, চা কর্নার ছাড়াও লন, ফোয়ারা, মনোরম লেক ও সুন্দর ব্রিজ। আর লেকের পানিতে ভ্রমণের জন্য রয়েছে নৌকার ব্যবস্থা। রিসোর্টের পাশেই অক্ষত রয়েছে প্রতিষ্ঠাতা শমসের গাজীর দুটি মাটির ঘর। অতিথিদের একটু কেনাকাটা করার জন্য খুচরা দোকান এবং চা এবং কফির স্টল রয়েছে। এখানে অগ্রিম বুকিং সহ বিভিন্ন সভা-সেমিনার, বিবাহ, ভোজ এবং বার-বি-কিউ পাওয়া যায়।
এই দুর্গে প্রায়ই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যা এর ভিন্ন স্থাপত্যশৈলীর কারণে পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরার পর্বতারোহীদের নৃত্য এই রিসোর্টের অন্যতম বিনোদন।