Munshi Abdur Rauf Monument

মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতিস্তম্ভ

Rangamati

Shafayet Al-Anik

·

২৭ নভেম্বর, ২০২৪

মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতিস্তম্ভ পরিচিতি

রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে কাপ্তাই লেকের ছোট্ট দ্বীপে চিরনিদ্রায় শায়িত বাঙালির অন্যতম বীর সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতিস্তম্ভ। গভীর নীল জলে ঘেরা সমাধিস্থলে লেখা তুমি দুর্জয়, নির্ভীক মৃত্যুহীন আত্মা শব্দগুলি তাঁর গৌরবময় বীরত্বের এক অনন্য প্রকাশ। প্রতি বছর স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের এই মহান বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী আসেন। এ ছাড়া সমাধিস্থলে যাওয়ার পথে নানিয়ারচরের আনারস বাগান, কাপ্তাই হ্রদে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও চারপাশের মনোরম দৃশ্যও সবাইকে মুগ্ধ করে।
1971 সালের 20শে এপ্রিল পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটির মহালছড়ি থানার বুড়িঘাট চিংড়ি খাল এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি অংশ যুদ্ধ করছিল। সেদিন ভারি অস্ত্র বোঝাই তিনটি লঞ্চ ও দুটি স্পিড বোট মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেলে। হানাদার বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে মুন্সী আব্দুর রউফ মেশিনগান নিয়ে একাই শত্রুর মোকাবেলা করেন এবং তার কমরেডদের নিরাপদে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর দুটি লঞ্চ ও একটি স্পিড বোট পানিতে তলিয়ে যায়, দুই প্লাটুন সৈন্য নিহত হয়। মুন্সী আব্দুর রউফ অতর্কিত আক্রমণকারী বাহিনীর ছোড়া মর্টারে শহীদ হন। পরে বুড়িঘাট ভাঙ্গামুড়া এলাকার দয়াল চাকমা তার লাশ উদ্ধার করে কাপ্তাই লেকের একটি ছোট দ্বীপে দাফন করেন। 1996 সালের 25 এপ্রিল মুন্সী আব্দুর রউফের কবর স্থানটি তার সহকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় চিহ্নিত করা হয়। 25 মার্চ, 2006-এ, রাইফেলের একটি ভাস্কর্য সহ একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয়েছিল।

কিভাবে যাবেন

খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিতে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে কমলাপুর, ফকিরাপুর, গাবতলী বা কলাবাগান থেকে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন বাস সার্ভিস রয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌঁছে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে নানিয়ারচর হয়ে সমাধিস্থলে যাওয়া যায়। আর রাঙ্গামাটি শহর থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় জেটিতে পৌঁছানো যায়।
চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে রাঙামাটি গিয়ে একইভাবে সমাধিস্থলে যাওয়া যায়। রাঙ্গামাটি থেকে নানিয়ারচরের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। নানিয়ারচর ঘাট থেকে কবরস্থানে যেতে প্রায় দেড় ঘণ্টা লাগে।

কোথায় থাকবেন

রাঙ্গামাটি শহরে রাত্রি যাপনের জন্য হোটেল প্রিন্স, হোটেল মাউন্টেন ভিউ, হোটেল মতি মহল, হোটেল জুম প্যালেস, হোটেল গ্রীন ক্যাসেল এর মতো বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল রয়েছে।

কোথায় খাবেন

রাঙামাটি মশলা রেস্টুরেন্ট, পাজন রেস্টুরেন্ট, আইরিশ রেস্টুরেন্ট এবং সাবরাং রেস্টুরেন্ট খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া নানিয়াঘাটে চা-নাস্তার খুচরা দোকান রয়েছে।
কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করুন
ফিচার ইমেজঃ আলিফ বাবু

Related Post

শুভলং জলপ্রপাত

শুভলং জলপ্রপাত

রাঙামাটি সদর থেকে মাত্র 25 কিলোমিটার দূরে শুভলং বাজারের পাশে শুভলং ঝর্ণা অবস্থিত। বাংলাদেশের অন্য সব ঝর্ণার মতো শুভলং ঝর ...

শাফায়েত আল-অনিক

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

অরোনাক হলিডে রিসোর্ট

অরোনাক হলিডে রিসোর্ট

অরন্নাক হলিডে রিসোর্ট রাঙ্গামাটি জেলার সেনানিবাস এলাকায় একটি সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে নির্মিত একটি পারিবারিক বিনোদন কেন ...

শাফায়েত আল-অনিক

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

ধুপ্পানি জলপ্রপাত

ধুপ্পানি জলপ্রপাত

রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের ওড়াছড়িতে গেলে চোখে পড়বে অপরূপ ধূপপানি ঝরনা। 2000 সালের দিকে, একজন ...

শাফায়েত আল-অনিক

১ ডিসেম্বর, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp (10AM - 10PM) or Email us.