Mujibnagar Complex Museum

মুজিবনগর কমপ্লেক্স জাদুঘর

Meherpur

Shafayet Al-Anik

·

১৪ জুলাই, ২০২৪

মুজিবনগর কমপ্লেক্স জাদুঘর পরিচিতি

মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর উপজেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার দোলনা মুজিবনগরে এই সৃষ্টির ইতিহাস তুলে ধরতে শপথ গ্রহণের স্থানে নির্মিত হয়েছে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স (মুজিবনগর কমপ্লেক্স জাদুঘর)।
স্মৃতি কমপ্লেক্সের আঙিনায় একটি বড় মানচিত্রের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার স্মারক ম্যুরাল, স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স, ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ এবং ঐতিহাসিক ছয় দফা রূপকের প্রতিনিধিত্বকারী গোলাপ বাগান। মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের বাইরের অংশে ভাস্কর্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ এবং পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ চিত্রিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস জানতে এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে ভরা এই ঐতিহাসিক স্থানটি দেখতে পর্যটকরা মেহেরপুরে ভিড় জমান।
ওয়েবসাইট: www.mujibnagar.com

কিভাবে যাবেন:

মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে যেতে হলে প্রথমে মেহেরপুর আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেতু বা পদ্মা সেতু পার হয়ে মেহেরপুর যেতে পারেন। মেহেরপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ছেড়ে যাওয়া এসবি পরিবহন, জেআর, শ্যামলী এবং আরকে পরিবহনের এসি/নন-এসি বাস রাজধানী ঢাকার কল্যাণপুর থেকে ছেড়ে যায়।
আর জেআর, রয়েল, এসএম, মেহেরপুর ডিলাক্স, চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের বাস ঢাকার গাবতলী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াত করে। এসব বাসের প্রতিটি সিটের টিকিটের ভাড়া ৬০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা।
মেহেরপুর জেলা সদর থেকে বাস, স্থানীয় যানবাহন (টেম্পু/নছিমন/করিমন) সড়কপথে 18 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে পৌঁছাতে 30 মিনিট সময় লাগে।

কোথায় থাকবেন:

মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের একটি আবাসিক হোটেল চলছে। এ ছাড়া জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, সার্কিট হাউস, মিউনিসিপ্যাল ​​হল ও ফিন টাওয়ারসহ বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।

কোথায় খাবেন:

মেহেরপুরে খাবারের জন্য বেশ কিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তবে আমের মৌসুমে মেহেরপুরে গেলে অবশ্যই পাকা আম খেতে ভুল করবেন না। এছাড়া মেহেরপুর শহরে ‘সাবিত্রী’ নামের মিষ্টির স্বাদ নিতে পারেন।

Related Post

ভাটপাড়া নীলকুঠি মেহেরপুর

ভাটপাড়া নীলকুঠি মেহেরপুর

ভাটপাড়া নীলকুঠি (ভাটপাড়া নীলকুঠি) মেহেরপুর জেলা শহর থেকে 14 কিলোমিটার দূরে গাংনী উপজেলায় কাজলা নদীর তীরে ব্রিটিশদের ন ...

শাফায়েত আল-অনিক

২০ জুলাই, ২০২৪

আমদা গ্রামের স্থাপত্য মেহেরপুর

আমদা গ্রামের স্থাপত্য মেহেরপুর

আমদহ গ্রাম মেহেরপুর জেলা শহর থেকে মাত্র 4 কিমি দূরে যেখানে স্থাপত্য নিদর্শনগুলি অবস্থিত। টানেল দ্বারা বেষ্টিত আমদা গ্রাম ...

শাফায়েত আল-অনিক

১ জুলাই, ২০২৪

সাবিত্রী রোশ কদম মিষ্টি

সাবিত্রী রোশ কদম মিষ্টি

জাতি হিসেবে বাঙালিরা ভোজনরসিক এবং এই কথাটি কমবেশি সব বাঙালির জন্যই প্রযোজ্য। একটি জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার পাশাপাশি, বাঙ ...

শাফায়েত আল-অনিক

৩১ আগস্ট, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp anytime or Call our Hotline (10AM - 10PM).