Kullapathar Sohid Minar Brahmanbaria

কুল্লাপাথর সহিদ মিনার ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Brahmanbaria

Shafayet Al-Anik

·

২০ জুলাই, ২০২৪

কুল্লাপাথর সহিদ মিনার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিচিতি

কুল্লাপাথর সহিদ স্মৃতিসৌধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত একটি সমাধিস্থল। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে ভরপুর এই কুল্লাপাথরে পাকবাহিনীর সঙ্গে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে শহীদ হওয়া প্রায় ৫০ জনের সমাধি রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সীমান্তবর্তী কসবা উপজেলা ছিল ২ নং সেক্টরের অধীন। ভারতের আগরতলায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের কারণে এলাকাটি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বারবার হামলার শিকার হয়েছে। একাধিকবার যুদ্ধ সংগঠিত হওয়ার কারণে সে সময় শহীদদের লাশ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। এমনকি তাদের দাফনও ঠিকমতো হয়নি। এ সময় কসবার স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম ও তার স্বজনরা তাদের পৈত্রিক বাড়িতে অজ্ঞাত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ সংগ্রহ করে গোসল ও জানাজা শেষে দাফন করতেন।
এ সময় ২ বীর বিক্রম, ১ বীর উত্তম, ২ বীরপ্রতীকসহ ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধের পর আবদুল করিম ও তার স্ত্রী মারা গেলে তাদেরও কুল্লাপাথরে সমাহিত করা হয়। 1972 সালে সরকার স্মৃতিসৌধ, ফলক, কবরের দেয়াল, খিলান, বিশ্রামাগার, পুকুর, মসজিদ নির্মাণ, প্রতিটি কবরে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও ঠিকানা লেখা এবং শহীদ সমাধির আশপাশের এলাকায় বনায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। গাছপালা ঘেরা নিরিবিলি পরিবেশে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সোহাগ, তিশা, তিতাস, রয়েল কোচ, বিআরটিসি ও সোহাগ পরিবহনের বাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়া যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর থেকে বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় কসবা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধে যাওয়া যায়। এছাড়া ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো ট্রেনে কসবা রেলস্টেশনে নেমে শহীদ স্মৃতিসৌধে যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাস্তার বাজার ও জগৎ বাজারে হোটেল সাগর, হোটেল সৈকত, হোটেল স্টার, আশিক প্লাজা, আকাশ আবাসিক হোটেল, চন্দ্রিমা ও রহমান আবাসিক ইত্যাদি আবাসিক হোটেল রয়েছে।

কোথায় খাবেন

কসবা উপজেলায় কিছু ভালো খাবারের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দর্শনীয় স্থান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে কালভৈরব মন্দির, কেল্লা জামে মাজার, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধি, ধরন্তি হাওর, হরিপুর জমিদার বাড়ি, ঘাগুটিয়া পদ্মবিল, কসবা সীমান্ত হাট এবং আখাউড়া চেক ইত্যাদি।
ফিচার ইমেজঃ নূর-ই-মেরাজ সরকার

Related Post

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতিসৌধ

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতিসৌধ

মোহাম্মদ মোস্তফর কামাল ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলার দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম হাজীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিভোর মোস্তফ ...

শাফায়েত আল-অনিক

২৬ জুলাই, ২০২৪

শ্রী শ্রী কাল ভৈরব মন্দির ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শ্রী শ্রী কাল ভৈরব মন্দির ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত শ্রী শ্রী কাল ভৈরব মন্দির একটি ঐতিহাসিক স্থাপনার নাম। তিতাস নদীর কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শ ...

শাফায়েত আল-অনিক

৩০ আগস্ট, ২০২৪

হরিপুর জমিদার বাড়ি

হরিপুর জমিদার বাড়ি

হরিপুর জমিদার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিণবেড় গ্রামে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ভবন। প্রায় 5 একর লাল ...

শাফায়েত আল-অনিক

১ জুলাই, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp anytime or Call our Hotline (10AM - 10PM).