Dhanuka Manasha Bari Shariatpur

ধানুকা মনশা বাড়ি শরীয়তপুর

Shariatpur

Shafayet Al-Anik

·

১২ আগস্ট, ২০২৪

ধানুকা মনশা বাড়ি শরীয়তপুর পরিচিতি

প্রায় ছয়শত বছরের পুরনো ধানুকা মনশা বাড়ি (ধানুকা মনশা বাড়ি) শরীয়তপুর জেলার প্রবীণরা ময়ূর ভট্টের বাড়ি নামে পরিচিত। ধানুকা মনসায় সুলতানি ও মুঘল আমলের স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত ৫টি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে দুর্গা মন্দির, মনসা মন্দির, কালী মন্দির, নহবতখানা ও আবাসিক ভবন উল্লেখযোগ্য।
সে সময় মনসা দেবীর পূজা করতে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে ময়ূর ভাটের বাড়িতে বহু মানুষ আসতেন। তখন থেকেই মনসা বাড়ি নামে বাড়িটির নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে মনসা বাড়ি নামকরণের আরেকটি গল্প আছে। ময়ূর ভাটের বাড়ির এক কিশোর টানা তিন দিন বাগানে ফুল তুলছিল যখন সে একটি বিশাল সাপ দেখেছিল। চারতুথের দিন উঠোনে সাপ নাচতে থাকে। সেই রাতে, মনসা দেবী ভট্টবাড়ির লোকদের কাছে স্বপ্নে আবির্ভূত হন এবং তাদের মনসা মন্দির স্থাপন এবং পূজার আয়োজন করার নির্দেশ দেন। আর তখন থেকেই ময়ূর ভট্ট বাড়ি মনসা বাড়ি হয়ে ওঠে এবং বাড়িটি ধানুকা গ্রামে অবস্থিত হওয়ায় ধানুকা শব্দটি মনসা বাড়ির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধানুকা মনসা বাড়ি নামে পরিচিতি পায়।
ধানুকা মনসায় একটি পিতলের মূর্তি রয়েছে। যা একসময় হারিয়ে গিয়েছিল এবং কয়েক বছর পর জেলেরা কীর্তিনাশা নদী থেকে উদ্ধার করে। পদ্মা নদীর অপর নাম কীর্তিনাশা বলাই ভালো। 1973 সালে ধানুকার মনসা বাড়ি থেকে ইতিহাস গবেষক মাস্টার জালাল উদ্দিন আহমেদের কাঠের খণ্ডে লেখা একটি বই উদ্ধার করা হয়। যা বর্তমানে শরীয়তপুর জেলার বেসরকারি গণগ্রন্থাগারে সংরক্ষিত আছে।

কিভাবে যাবেন

মনসা বাড়ি দেখতে হলে অবশ্যই শরীয়তপুর জেলায় আসতে হবে। ঐতিহ্যবাহী এই ধানুকা মনসা বাড়িটি শরীয়তপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের ধানুকা গ্রামে অবস্থিত। গ্লোরি এক্সপ্রেস, শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সাগরিকা পরিবহনের বাসগুলো ঢাকা গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে পদ্মা সেতু হয়ে শরীয়তপুর পর্যন্ত চলাচল করে। মান অনুযায়ী বাস ভাড়া 400-500 টাকা পড়বে। শরীয়তপুর শহরের যেকোনো স্থান থেকে রিকশায় করে মনসার বাড়িতে যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন

শরীয়তপুর জেলায় খুব একটা ভালো হোটেল থাকার ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। শরীয়তপুর জেলা সদরে অবস্থিত আবাসিক হোটেলগুলোর মধ্যে নূর হোটেল, চন্দ্রদাস রেস্ট হাউস, হোটেল শের আলী উল্লেখযোগ্য।

কোথায় খাবেন

শরীয়তপুর জেলা শহরে খাবারের জন্য আপনি পাবেন বিভিন্ন মানের চাইনিজ ও বাংলা খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। আপনার সাধ্যের মধ্যে যেকোনো হোটেল থেকে খেতে পারেন। শরীয়তপুর শহরের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্টের মধ্যে উৎসব চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, হোটেল জনতা, চিকন্দি ফুড পার্ক, চিলেকোঠা ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট উল্লেখযোগ্য।

Related Post

আধুনিক ফ্যান্টাসি কিংডম

আধুনিক ফ্যান্টাসি কিংডম

2011 সালে, মডার্ন হারবাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. আলমগীর মতি প্রায় 50 একর জমি নিয়ে মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম পার্ক প্রতিষ্ ...

শাফায়েত আল-অনিক

২৬ জুন, ২০২৪

বুড়ির হাট জামে মসজিদ শরীয়তপুর

বুড়ির হাট জামে মসজিদ শরীয়তপুর

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত বুড়ির হাট জামে মসজিদ বাংলাদেশের ইসলামী স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন। বুড়ির হাট ...

শাফায়েত আল-অনিক

১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মহিসার দিগুম্বরী দিঘী

মহিসার দিগুম্বরী দিঘী

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ৬০০ বছরের পুরনো মহিসার দিগুম্বরী দিঘী হিন্দুদের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। মুঘল ...

শাফায়েত আল-অনিক

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp anytime or Call our Hotline (10AM - 10PM).