Mausoleum Of Bangabandhu

বঙ্গবন্ধুর সমাধি

Gopalganj

Shafayet Al-Anik

·

৪ আগস্ট, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর সমাধি পরিচিতি

গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে মাত্র 19 কিলোমিটার দূরে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি অবস্থিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামের বর্ণিল জীবনের অবসান ঘটে। বাবা-মায়ের কবরের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মরদেহ দাফন করা হয়।
১৯৯৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ১৯৯৯ সালের ১৭ মার্চ সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ এই সমাধিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০১ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু কন্যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সমাধিসৌধের উদ্বোধন করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩৯ একর জমির ওপর বাইগার নদীর তীরে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধু সমাধি।
লাল সিরামিক ইট এবং কালো এবং সাদা টাইলস গ্রীক স্থাপত্যের স্পর্শে বেদনার প্রতীক হয়ে উঠেছে। কমপ্লেক্সের সামনের বাগান পার হলেই দেখা যায় বঙ্গবন্ধুর কবর। বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশেই রয়েছে তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মা সায়রা খাতুনের কবর। আর এই তিনটি কবরকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে মূল সমাধি।
মাজারের উপরে সাদা পাথরের তৈরি একটি গোলাকার গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজের দেয়ালগুলো জাফরি-কাটা এবং এই জাফরি ​​কাটার মাধ্যমেই সূর্যের আলো মাজারে প্রবেশ করে এবং কাঁচের কাজ দিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
বঙ্গবন্ধু সমাধি কমপ্লেক্সে রয়েছে একটি মসজিদ, লাইব্রেরি, পাবলিক প্লাজা, প্রশাসনিক ভবন, গবেষণা কেন্দ্র, প্রদর্শনী কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, বকুলতলা চত্বর, উন্মুক্ত মঞ্চ, স্যুভেনির কর্নার, ফুলের বাগান এবং কৃত্রিম পাহাড়।

কিভাবে যাবেন

রাজধানী ঢাকা থেকে বাসে সরাসরি টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ার দূরত্ব ১৬৫ কিলোমিটার। ঢাকার গুলিস্তান বা সয়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে এমাদ পরিবহন, দোলা পরিবহন, ওয়েলকাম এক্সপ্রেস বাসে করে টুঙ্গিপাড়া যেতে পারেন। বাসে সিট জনপ্রতি ভাড়া ৫০০-৫৫০ টাকা।
গোপালগঞ্জ থেকে টুঙ্গিপাড়া লোকাল বাস গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রাম ও পুলিশ লাইন মোড় থেকে ৩০ মিনিটের ব্যবধানে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বাস ভাড়া 40 টাকা। গোপালগঞ্জ সদর থেকে বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌদ পর্যন্ত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা রিজার্ভ করুন এবং এটির দাম 300 থেকে 350 টাকা।

কোথায় থাকবেন

গোপালগঞ্জ জেলা শহরের কেন্দ্রস্থলে থাকার জন্য হোটেল পলাশ, হোটেল রানা (02-6685172), হোটেল তাজ, হোটেল সোহাগ (0668-61740), হোটেল রিফাত এবং হোটেল শিমুলের মতো বেশ কয়েকটি মানসম্পন্ন আবাসিক হোটেল রয়েছে। ধরন ও মান অনুযায়ী এসব হোটেলে রুম ভাড়া ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা।
এছাড়া টুঙ্গিপাড়া থানা রোডে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মধুমতি মোটেলে এসি ও নন-এসি রুমে থাকতে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং মধুমতি মোটেলের ডরমিটরিতে থাকতে ২০০ টাকা। ফোন: 02-6656349, 01712-563227।
1. জেলা পরিষদ কটেজ, গোপালগঞ্জ। যোগাযোগ: প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, ফোন: 0668-61204। 2. গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউস: (নেজারত) ডেপুটি কালেক্টর, ফোন: 02-6685234, 02-6685565।

Related Post

উজানি প্যালেস গোপালগঞ্জ

উজানি প্যালেস গোপালগঞ্জ

উজানি প্রাসাদ একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন যা গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে মুকসুদপুরে অবস্থিত। কালের বিবর ...

শাফায়েত আল-অনিক

১৪ আগস্ট, ২০২৪

বিল রুট ক্যানেল গোপালগঞ্জ

বিল রুট ক্যানেল গোপালগঞ্জ

বিল রুট ক্যানেল মাদারীপুর-গোপালগঞ্জ মহাসড়ক এবং আড়পাড়া মুন্সিবাড়ীর পাশ দিয়ে প্রবাহিত একটি ঐতিহ্যবাহী খাল। বিল রুট ক্ ...

শাফায়েত আল-অনিক

২৪ জুন, ২০২৪

উলপুর জমিদার বাড়ি গোপালগঞ্জ

উলপুর জমিদার বাড়ি গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উলপুর জমিদার বাড়ি প্রাচীন বাংলার জমিদারদের সাহসিকতা ও আভিজাত্যের ...

শাফায়েত আল-অনিক

৭ আগস্ট, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp anytime or Call our Hotline (10AM - 10PM).