Manpura Island Bhola

মনপুরা দ্বীপ ভোলা

Bhola

Shafayet Al-Anik

·

৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

মনপুরা দ্বীপ ভোলা পরিচিতি

মনপুরা দ্বীপ (মনপুরা দ্বীপ) বাংলাদেশের ভোলা জেলার অন্তর্গত একটি বিচ্ছিন্ন ভূমি। মনপুরা দ্বীপের পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তরে মেঘনা নদী এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর প্রবাহিত। মনপুরা দ্বীপ থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার বিরল সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া এই দ্বীপে রয়েছে হরিণ অভয়ারণ্য, মনপুরা ল্যান্ডিং স্টেশন ও চৌধুরী প্রকল্প। মেঘনা নদীর ৫০০ মিটারের মধ্যে মনপুরা ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও পর্যটকরা বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এখানে সময় কাটাতে আসেন। দ্বীপের হরিণ অভয়ারণ্যের হরিণ উচ্চ জোয়ারের সময় প্রধান সড়কের খুব কাছে আসে। মাঝে মাঝে বাইক থামিয়ে হরিণের পাল রাস্তা পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া এই দ্বীপে চৌধুরী প্রজেক্ট নামে একটি মাছের ঘের রয়েছে। পুকুরের বিস্তীর্ণ বিস্তৃতি এবং লেকের পাড়ে নারকেল গাছের সারি একটি বিকেল কাটানোর জন্য বেশ মনোমুগ্ধকর। সাইকেল চালানো এবং ক্যাম্পিং করার জন্য মনপুরা দ্বীপ একটি আদর্শ জায়গা। সাইকেলে নদী ও সবুজের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া একটি আনন্দদায়ক অনুভূতি তৈরি করে।
মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণের সময় শীতকাল হল মনপুরা দ্বীপ দেখার সেরা সময়। শীতকালে মনপুরায় ক্যাম্পিং ভ্রমণে একটি অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করে।

কিভাবে যাবেন

একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় মনপুরা দ্বীপে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম লঞ্চ। ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি ফারহান-৩ ও ৪ নামের দুটি লঞ্চ প্রতিদিন বিকাল ৫টায় হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে মনপুরা দ্বীপে পৌঁছায়। লঞ্চ থেকে সূর্যোদয় দেখা মন্ত্রমুগ্ধকর। লঞ্চের ডেকে চড়ার জন্য জনপ্রতি 350 টাকা। ঢাকার উদ্দেশ্যে দুপুর ২টায় মনপুরা রামনেওয়াজ লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চ।
এছাড়া ঢাকা বা বরিশাল থেকে ভোলা হয়ে তজুমদ্দিন ঘাট হয়ে সি-ট্রাকে করে মনপুরা দ্বীপে আসতে পারেন। দৈনিক সি-ট্রাক তজুমদ্দিন থেকে বিকাল ৩টায় ছাড়ে এবং ফিরতি সি-ট্রাক মনপুরা থেকে সকাল ১০টায় ছাড়ে। ভোলার চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাট থেকে দুটি লঞ্চ মনপুরার জনতা বাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই নৌপথকে বিপদসীমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাই এই ৮ মাস এই রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকে।

কোথায় থাকবেন

মনপুরা দ্বীপে রাত্রি যাপনের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানের (সরকারি ডাকবাংলো, কারিতাস বাংলো এবং প্রেসক্লাব বাংলো) ডাক বাংলো রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় এসব বাংলোতে রাত কাটাতে পারবেন।

কি খাবেন

মনপুরা দ্বীপে শীতকালে গরুর মাংসের রোস্ট খুবই জনপ্রিয় খাবার। তাছাড়া মহিষের দুধের দই, তাজা নদীর ইলিশ, বোয়াল, কোরাল ও গলদা চিংড়ি খেতে পারেন।

Related Post

নিজাম হাসিনা মসজিদ ভোলা

নিজাম হাসিনা মসজিদ ভোলা

বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলায় নির্মিত হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ আধুনিক মসজিদ নিজাম হাসিনা মসজিদ। ভোলার উকিল প ...

শাফায়েত আল-অনিক

২৮ নভেম্বর, ২০২৪

স্বাধীনতা জাদুঘর ভোলা

স্বাধীনতা জাদুঘর ভোলা

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তরুণ প্রজন্মকে জানাতে ভোলার বাংলাবাজার এলাকায় তোফায়েল আহমেদ ট্রাস্টি বোর্ডের উদ্য ...

শাফায়েত আল-অনিক

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

তালুকদার বারী ভোলা

তালুকদার বারী ভোলা

ঐতিহাসিক তালুকদার জমিদার বাড়ি ভোলা জেলা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচারা ইউনিয়নে অবস্থিত। The house ...

শাফায়েত আল-অনিক

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp (10AM - 10PM) or Email us.