Kurikhai Fair Katiadi

কুড়িখাই মেলা কটিয়াদী

Kishoreganj

Shafayet Al-Anik

·

২৯ নভেম্বর, ২০২৪

কুড়িখাই মেলা কটিয়াদী পরিচিতি

এক সময় সারা বছরই গঞ্জের গ্রামে গ্রামে নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা বসত। সময়ের সাথে সাথে আমাদের মন-মানসিকতা বদলে যাওয়ায় এসব গ্রামীণ মেলা এখন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক এই ধরনের গ্রামীণ মেলা এখন খুব কমই দেখা যায়। তবে কিছু কিছু জায়গায় এখনো প্রতিবছর বহু ঐতিহ্যবাহী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
তেমনই একটি মেলা কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার কুড়িখাই মেলা। ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রায় ৪০০ বছর ধরে প্রতি বছর এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বারো আউলিয়াদের একজন হযরত শাহ শামসুদ্দিন আউলিয়া ইসলাম প্রচারের লক্ষ্যে ৪০০ বছর আগে কটিয়াদীর কুড়িখাই এলাকায় আসেন, তখন থেকেই তাঁর মাজারকে ঘিরে এ মেলার আয়োজন করা হয়। প্রতি বছর এই মেলা মাঘ মাসের শেষ সোমবার থেকে শুরু হয়ে ৭ দিন ধরে চলে। এখানকার স্থানীয় লোকজন সারা বছর এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করেন। এই মেলায় পুরো সময় জুড়ে থাকে আশপাশের সব মানুষের ভিড়। সারাদেশ থেকে লক্ষাধিক মানুষ জড়ো হয় ফকির দরবেশসহ।
গ্রামীণ মেলার সব ঐতিহ্য বর্তমান এই মেলায়। মেলায় পাওয়া যাবে না এমন কিছু নেই। সেই সাথে ওরসসহ সারাদেশের সাধুদের নানা কীর্তি চলে। তবে এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ মাছের মেলা। মেলার মাঠের একপাশে বিশাল ও বৈচিত্র্যময় মাছের বাজার। প্রথা অনুযায়ী এলাকার মেয়েদের জামাইদের নিমন্ত্রণ করা হয়। জামাইদের মধ্যে মাছ কেনার প্রতিযোগিতা, কে সবচেয়ে বড় মাছ কিনে শ্বশুর বাড়িতে গেল তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক। আর শ্বশুরবাড়ির লোকজন সেই মাছ দিয়ে আপ্যায়ন করে। মেলার পুরো সময়জুড়ে এলাকায় বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ।

কিভাবে যাবেন

আপনি কিশোরগঞ্জের মানিকখালী স্টেশনে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার জন্য একটি আন্তঃনগর ট্রেনে যেতে পারেন (এতে প্রায় 3 ঘন্টা+ সময় লাগবে)। জনপ্রতি ৩০-৩৫ টাকা ভাড়ায় অটোরিকশা বা সিএনজি করে সেখানে নেমে মেলায় যেতে পারেন। বাসে আসতে চাইলে ঢাকার গোলাপবাগ, সায়েদাবাদ থেকে কিশোরগঞ্জের যে কোনো বাসে কিশোরগঞ্জে যেতে পারেন (সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা+)। সেখান থেকে 40-60 টাকায় অটোরিকশা বা সিএনজি করে কুড়িখাই মেলায় যাওয়া যায়।

থাকতে চাইলে

কটিয়াদীতে থাকার ব্যবস্থা নেই, রাতে থাকতে হলে কিশোরগঞ্জ সদরে আসতে হবে। সেখান থেকে কটিয়াদী থেকে সিএনজি বা বাসে করে কিশোরগঞ্জ আসতে হবে। সদরের স্টেশন রোড এলাকায় বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে।

কিশোরগঞ্জের দর্শনীয় স্থান

কিশরোগঞ্জ জেলায় দেখার মতো অন্যান্য স্থানের মধ্যে রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি, পাগলা মসজিদ, এগারসিন্দুর দুর্গ, জঙ্গলবাড়ি দুর্গ, কবি চন্দ্রাবতী মন্দির এবং নরসুন্দা লেক।

Related Post

ইটনা হাওর কিশোরগঞ্জ

ইটনা হাওর কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ জেলার অন্যতম হাওর উপজেলা ইটনা। ইটনা হাওরে সারা বছরই কমবেশি পানি থাকলেও বর্ষাকালে হাওরগুলো শৈল্পিক রূপ ধারণ করে ...

শাফায়েত আল-অনিক

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

শোলাকিয়া ঈদগাহ

শোলাকিয়া ঈদগাহ

শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের বৃহত্তম ও ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ...

শাফায়েত আল-অনিক

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

শেখ মাহমুদ শাহ মসজিদ কিশোরগঞ্জ

শেখ মাহমুদ শাহ মসজিদ কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে একটি গম্বুজ বিশিষ্ট একটি প্রাচীন শেখ মাহমুদ শাহ মসজিদ অবস্থিত। ...

শাফায়েত আল-অনিক

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp (10AM - 10PM) or Email us.