ইটনা হাওয়ারে সরাসরি যেতে হলে প্রথমে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে আসতে হবে। ঢাকা থেকে ট্রেন বা বাসে করে কিশোরগঞ্জ আসতে পারেন।
ঢাকা থেকে ট্রেনে কিশোরগঞ্জ: কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে সকাল ৭:১৫ মিনিটে এগারোসিন্ধুর যাওয়ার ট্রেন ধরলে রাত ১১টার মধ্যে কিশোরগঞ্জ পৌঁছানো যায়। ট্রেনের টিকিট কিনতে ক্লাস ভেদে 135 টাকা থেকে 368 টাকা লাগবে। তারপর আপনাকে ইজিবাইকে (অটো) শহরের একরামপুর মোড়ে আসতে হবে মাত্র ৫ টাকা ভাড়ায় বা পায়ে হেঁটে ৫ মিনিট।
ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের বাসে : মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে কিশোরগঞ্জগামী অনন্যা পরিবহন অথবা গোলাপবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে কিশোরগঞ্জগামী অনন্যা সুপার অথবা কমিউটার বাসে কিশোরগঞ্জ শহর গাইতল বাসস্ট্যান্ড। বাস ভাড়া জনপ্রতি 270-350 টাকা। মহাখালী থেকে প্রায় 3 ঘন্টা এবং গোলাপবাগ থেকে প্রায় 4 ঘন্টা লাগবে। আর গোলাপবাগ থেকে হাওর বিলাস বা উজান ভাটির বাসে আসলে সরাসরি চামতা বন্দর/চামতা ঘাটে নেমে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে অন্য পরিবহনে চামতা বন্দরে আসতে হবে না। তবে কিশোরগঞ্জে কোনো বাস সার্ভিস খুব একটা ভালো নয়। এর মধ্যে অপেক্ষাকৃত ভালো সার্ভিস হচ্ছে মহাখালীর অনন্যা পরিবহন এবং গোলাপবাগ থেকে বাস সার্ভিস।
আপনি যদি অনন্যা সুপার বা কমিউটার বাসে কিশোরগঞ্জের গাইতাল বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান, তাহলে সেখান থেকে ইজিবাইক নিয়ে শহরের একরামপুর জংশনে যান। ইজিবাইক 15 টাকা আর রিকশা 30 টাকা।
কিশোরগঞ্জ থেকে ইটনা : একরামপুর জংশন থেকে চামতা ঘাটে যেতে হলে 40 টাকা থেকে 50 টাকা ভাড়ায় সিএনজি বা মাহেন্দ্র ট্রেনে যেতে হবে। একরামপুর থেকে চামতা ঘাটের দূরত্ব বিশ কিলোমিটার। চামঘাট থেকে ইটনা পর্যন্ত ট্রলার পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ট্রলারগুলো নিয়মিত বিরতিতে ইটনার উদ্দেশ্যে চামতা ঘাট ছেড়ে যায়। একইভাবে ইটনা থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ট্রলার চলাচল করে। ট্রলারে করে ইটনা যেতে ৬০ টাকা লাগে, আর সময় লাগে দুই ঘণ্টা। বলে রাখা ভালো যে, কিশোরগঞ্জের স্থানীয় লোকজন চামতা ঘাটকে আঞ্চলিকভাবে 'চামটা ঘাট' বলে ডাকে।
চামঘাট থেকে সারাদিনের জন্য ইঞ্জিন বোট বা ট্রলার রিজার্ভ করে রাখলে একদিনে সব জায়গায় ঘুরে একই দিনে কিশোরগঞ্জ শহরে ফিরতে পারবেন। এক্ষেত্রে ট্রলারের আকার ভেদে ভাড়া পড়বে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।