কমলদহ ঝর্ণার ওপরে উঠে একটি ছোট ক্যাসকেড পেরিয়ে ঝিরি পথে একটু এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন ঝিরি পথটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ডানে-বামে চলে গেছে। প্রথমে বাম দিকে ঝিরি পথ ধরে এগিয়ে যান। আপনি যদি এই ট্রেইলটিকে একটু অনুসরণ করেন তবে আপনি ডান দিকে আরেকটি ট্রেইল পাবেন (এটি এখনও নেবেন না)। সোজা পথ ধরে একটু এগোলেই দেখতে পাবেন ছাগলকান্দা ঝর্ণা (উপরে যেতে চাইলে পাশের পাহাড়ের পথ খুঁজে নিন)। ছাগলকান্দা ঝর্ণা দেখে ফেরার সময় ডান পাশের ঝিরির কথা বলছিলাম, এবার এই ঝিরিপথ ধরে এগোন।
সামনে আপনি একটি ক্যাসকেড পাবেন, খুব সাবধানে ক্যাসকেড অতিক্রম করুন এবং ক্যাসকেডের উপরে উঠুন। আবার সামনে দুটি স্রোত দেখতে পাবেন এবং দুটি স্রোতের শেষে দুটি সুন্দর ঝরনা রয়েছে। সেখান থেকে কমলদহ ঝর্ণায় ফিরে যান যেখানে ট্রেইলটি প্রথমে দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল।
এখন ঝিরি পথের সামনে একটা ঝর্ণা পাবেন। এই জলপ্রপাতের পাশের পাহাড়ি রাস্তায় গিয়ে আপনি জলপ্রপাত দেখতে পাবেন, একটু এগোলেই আরেকটি ক্যাসকেড পাবেন। ক্যাসকেডের একটু ওপরে গেলেই চোখে পড়বে একটি ছোট জলপ্রপাত। এখানে থেমে না গিয়ে, ছোট ঝরনার পাথরে উঠে গেলে মনে হবে আপনি অন্ধকার সুড়ঙ্গের মধ্যে আছেন। হাল ছাড়বেন না এবং 2 মিনিট হাঁটার পরে আপনি পাথর ভাঙা ঝর্ণা দেখতে পাবেন।
ছোট জলপ্রপাতের পরে ক্যাসকেড পেরিয়ে পাথর ভাঙা ঝর্ণা থেকে পিঠে উঠে বাঁ দিকে পাহাড়ে উঠে যাওয়া একটি ছোট রাস্তা দেখতে পাবেন। (মনে আছে পাথরভাঙ্গা ঝর্ণা দেখতে গেলে ডানদিকে পাহাড়ি রাস্তা ছিল)
পাহাড়ে উঠে দেখবেন রাস্তাটা আবার বিভক্ত হয়ে গেছে। তারপর পাহাড়ের চূড়ায় যাওয়া রাস্তা ধরে এগিয়ে যান। একটু এগিয়ে গেলেই তিনটা মোড় নিয়ে অপেক্ষাকৃত বড় একটা রাস্তা চলে আসবে। তারপর ডান দিকের রাস্তা ধরে এগিয়ে যান। একটু এগোলেই চোখে পড়বে ঝরনা।
সামনে গেলে পাকা রাস্তা পাবেন। এই পাকা রাস্তা দিয়ে নয়ন আশ্রম, ফরেস্ট অফিস হয়ে সোজা বড়দারোগারহাট স্টেশনে আসা যায়।