Jhaudia Shahi Masjid Kushtia

ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ কুষ্টিয়া

Kushtia

Shafayet Al-Anik

·

৮ জুলাই, ২০২৪

ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ কুষ্টিয়া পরিচিতি

ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলা থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে ঝাউদিয়া গ্রামে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। ইট, পাথর, বালি ও চীনামাটির মাটির মসজিদটির সঠিক নির্মাণকাল জানা না গেলেও মসজিদটি নিয়ে অনেক কিংবদন্তি রয়েছে। কিংবদন্তি অনুসারে, ঝাউদিয়া শাহী মসজিদটি অলৌকিকভাবে নির্মিত হয়েছিল। অনেকের মতে, সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে ইরাকের শাহ সুফি আদারি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি ইবাদতের জন্য ঝাউদিয়ায় এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। অপূর্ব সুন্দর ঝাউদিয়া শাহী মসজিদটি বর্তমানে কুষ্টিয়ার অন্যতম প্রাচীন স্থাপত্য হিসেবে পরিচিত।
শৈল্পিকভাবে নির্মিত মসজিদের মূল কাঠামোতে তিনটি গম্বুজ, তিনটি দরজা এবং নামাজের জন্য তিনটি সারি রয়েছে। আর মসজিদের চূড়ায় সুন্দর পাঁচটি গম্বুজ এবং ভিতরের প্রবেশপথে দুটি মিনার লক্ষ্য করা যায়। এ ছাড়া ঝাউদিয়া শাহী মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে চুন ও সুরকি দিয়ে তৈরি দুটি সুন্দর জানালা রয়েছে। মসজিদটি মাটির তালি, চুন ও সুরকি দিয়ে তৈরি তাই ভেতরে বেশ ঠান্ডা। তবে মসজিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল সুসজ্জিত দেয়াল। শাহী মসজিদের পাশেই সুফি সাধকের কবর। 1969 সালে, মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত হয়। বর্তমানে দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মুসল্লি ও দর্শনার্থী মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে কুষ্টিয়া যাওয়া যায়। ঢাকার কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আপনি নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স, শ্যামলী, হানিফ বা পাবনাগামী বাসে করে পদ্মা বহুমুখী সেতু হয়ে কুষ্টিয়া যেতে পারেন। বাস ভাড়া নন এসি 600-700 টাকা, এসি 1000-1200 টাকা। ট্রেনে যেতে চাইলে যেতে পারেন সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে, মধুমতি এক্সপ্রেস বিকেল ৩টায় এবং বেনাপোল এক্সপ্রেস রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনের সিট ভেদে টিকিটের দাম 410 টাকা থেকে 943 টাকা। ট্রেনে আপনাকে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে নামতে হবে। কুষ্টিয়া শহরের চৌরহাঁস মোড় থেকে ঝাউদিয়া-মাছপাড়া সড়ক হয়ে বাসে বা সিএনজিতে করে ঝাউদিয়া শাহী মসজিদে যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন

কুষ্টিয়া শহরের আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল রাতুল, হোটেল নূর, হোটেল লিবার্টি, পদ্মা হোটেল ও শাপলা হোটেল উল্লেখযোগ্য।

কোথায় খাবেন

কুষ্টিয়া শহরে খেয়া রেস্তোরাঁ, পালকি, মরিচ ফুড পার্ক, জাহাঙ্গীর হোটেল এবং শিল্পী হোটেল ইত্যাদি রেস্তোরাঁ রয়েছে। সুযোগ থাকলে কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা ও কুলফি খেতে পারেন।

অন্যান্য দর্শনীয় স্থান

কুষ্টিয়ার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে লালন শাহের মাজার, লালন শাহ সেতু, মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা, টেগার লজ, রবীন্দ্র ঠাকুরের কুঠিবাড়ি এবং জাদুঘর।
ফিচার ইমেজ: শুভ শোয়েব

Related Post

মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি জাদুঘর

মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি জাদুঘর

মীর মশাররফ হোসেন বাস্তুবিতা কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া গ্রামে অবস্থিত। মীর মোশাররফ হোসেন 13 নভেম্বর 1847 সালে জন্মগ্রহণ করেন ...

শাফায়েত আল-অনিক

১০ জুলাই, ২০২৪

লালন শাহের মাজার

লালন শাহের মাজার

লালন শাহের মাজার কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় অবস্থিত। লালন শাহ কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়ায় শিষ্যদের নীতি-নৈতিকত ...

শাফায়েত আল-অনিক

১৪ আগস্ট, ২০২৪

ঠাকুর লজ কুষ্টিয়া

ঠাকুর লজ কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত লাল রঙের দোতলা বিশিষ্ট 'টেগার লজ বা টেগোর লজ' রয়েছ ...

শাফায়েত আল-অনিক

২৬ জুলাই, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp anytime or Call our Hotline (10AM - 10PM).