Hajigonj Boro Masjid

হাজীগঞ্জ বড়ো মসজিদ

Chandpur

Shafayet Al-Anik

·

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

হাজীগঞ্জ বড়ো মসজিদ পরিচিতি

চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জে অবস্থিত, শৈল্পিকভাবে নির্মিত হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড মসজিদ আয়তনের দিক থেকে উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ। হাজী আহমদ আলী পাটোয়ারী 1337 সালে হাজীগঞ্জ বড়ো মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় 28,400 বর্গফুট আয়তনের এই বিশাল মসজিদে প্রায় 10,000 মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। আর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুমাতুল বিদায়ার জামাত হয় এই মসজিদে। বাংলাদেশের 6ষ্ঠ বৃহত্তম মসজিদটির প্রায় 188 ফুটের একটি দর্শনীয় মিনার রয়েছে।
একাদশ শতকের দিকে মকিম উদ্দিন (রহ.) নামে বুজুর্গ কামেল পরিবারের শেষ পুরুষ হাজী মনিরুদ্দিন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত একটি দোকান থেকে হাজীগঞ্জ ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়াকিফ হাজী আহমদ আলী পাটোয়ারী (রহ.) ছিলেন মনাই হাজী (রহ.)-এর প্রপৌত্র।
খড়ের তৈরি একতলা মসজিদ থেকে শুরু করে মসজিদটি ধীরে ধীরে খড়ের ছাদের মসজিদ এবং পরে টিনের ছাদের মসজিদে পরিণত হয়েছে। পরবর্তীতে ১৩৩৭ সালের ১৭ আশ্বিন হযরত মাওলানা আবুল ফারাহ জৈনপুরী (রহ.) পাকা মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। হাজীগঞ্জের ঐতিহাসিক বড় মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হলে মারমার পাথরের প্রধান মসজিদে ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের ১০ অগ্রহায়ণে নামাজের আযান দেওয়া হয়। সেই ঐতিহাসিক জুমার নামাজে অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী একেএম ফজলুল হক, নবাব মোশাররফ হোসেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং নবাবজাদা খাজা নাসরুল্লাহসহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

কিভাবে যাবেন

ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে চাঁদপুরগামী বাসগুলো দিনভর নিয়মিত বিরতিতে ছেড়ে যায়। অথবা আপনি ট্রেনে যেতে পারেন। ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলোর মধ্যে এমভি সোনারতারি, এমভি তাকওয়া, এমভি বোগদাদিয়া, এমভি মেঘনা রানী, এমভি আল বোরাক, এমভি ঈগল, এমভি রাফারফ, এমভি টুটুল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এসব লঞ্চে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের ভাড়া ক্যাটাগরি ভেদে ১০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। ঢাকা থেকে লঞ্চ যেতে সময় লাগে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা।
চাঁদপুরের তালতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে হাজীগঞ্জগামী বাসে উঠলে বাসের হেলপারকে বড় মসজিদের নাম বললে মসজিদের সামনে বাস থেকে নামতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

থাকার জন্য মোটামুটি ভালো হোটেলের মধ্যে সদর হাসপাতালের সামনের হোটেল গ্র্যান্ড ইলিশ ভালো। এ ছাড়া চাঁদপুরে কোর্ট স্টেশনের কাছে বেশ ভালো মানের হোটেল পাবেন। চৌধুরী ঘাট বা নতুন সেতুর কাছে নদীর তীরে বেশ কিছু মানসম্পন্ন হোটেল রয়েছে।

কোথায় খাবেন

চাঁদপুরে ক্ষুধা মেটানোর জন্য বিভিন্ন মানের বিভিন্ন খাবারের হোটেল রয়েছে। আপনার পছন্দের যেকোনো হোটেলে খেতে পারেন। কম দামে খেতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালের ডান পাশে অবস্থিত BIWTA ক্যান্টিনে। অবশ্য ফরিদগঞ্জে আউয়াল ভাইয়ের মিষ্টি ও ওয়ান মিনিট আইসক্রিমের স্বাদ নিতে পারেন। যেহেতু আপনি ইলিশের রাজধানী চাঁদপুরে এসেছেন, এখানে এলে ইলিশ মিস করা কি ঠিক? তাজা ইলিশ খেতে চাইলে রেলস্টেশনের ঝুপড়ি হোটেল কিংবা লঞ্চঘাটের হোটেলগুলোতে খেতে পারেন।

Related Post

রূপসা জমিদার বাড়ি

রূপসা জমিদার বাড়ি

Rupsha Jomidar Bari (রূপশা জোমিদার বাড়ি) is located in Rupsha village of Faridganj upazila, an ancient town of Chandpur ...

শাফায়েত আল-অনিক

৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

চাঁদপুর ওঙ্গিকর মনুমেন্ট

চাঁদপুর ওঙ্গিকর মনুমেন্ট

চাঁদপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তিযোদ্ধা রোডের পাশের লেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে ১৯৭১ সালে ওঙ্গিকর মনুমেন ...

শাফায়েত আল-অনিক

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

হযরত শাহরাস্তি মাজার চাঁদপুর

হযরত শাহরাস্তি মাজার চাঁদপুর

হযরত শাহরাস্তি মাজার চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে অবস্থিত। রাস্তি শাহ ১২৩৮ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের বাগদাদে ...

শাফায়েত আল-অনিক

২৫ নভেম্বর, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp (10AM - 10PM) or Email us.