Ongikar Monument Chandpur

চাঁদপুর ওঙ্গিকর মনুমেন্ট

Chandpur

Shafayet Al-Anik

·

১৪ জুন, ২০২৪

চাঁদপুর ওঙ্গিকর মনুমেন্ট পরিচিতি

চাঁদপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তিযোদ্ধা রোডের পাশের লেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে ১৯৭১ সালে ওঙ্গিকর মনুমেন্ট (Ongikar Monument) নির্মিত হয়েছে। এটি নির্মাণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত অপরাজেয় বাঙালি ভাস্কর্যের স্থপতি সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ। 15 ফুট লম্বা প্লেজ ভাস্কর্যটি তৈরি করতে সিমেন্ট, পাথর এবং লোহা ব্যবহার করা হয়েছে, যা চাঁদপুরের কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ হিসেবে পরিচিত।
হাসান আলী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের সামনে প্রতিশ্রুতি ভাস্কর্যের উপরে উত্থিত মুঠিটি স্বাধীনতার জন্য জনগণের সংকল্প এবং হাতে অস্ত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন ও রক্ষা করার শক্তির প্রতীক। 1989 সালে চাঁদপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক এসএম শামছুল আলমের প্রচেষ্টায় দৃষ্টিনন্দন অঙ্গীকার ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়। প্রতি বছর বিভিন্ন জাতীয় দিবসে আঙ্গিকর ভাস্কর্যের পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। আর প্রতিদিন বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অসংখ্য দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে ভাস্কর্যটির আশপাশ। চাঁদের আলোয় লেকের পানিতে আঙ্গিকার ভাস্কর্য অপূর্ব লাগে।

কিভাবে যাবেন

রাজধানী ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ১ ঘণ্টার মধ্যে কয়েকটি লঞ্চ চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলোর মধ্যে এমভি সোনারতারি, এমভি তাকওয়া, এমভি বোগদাদিয়া, এমভি মেঘনা রানী, এমভি আল বোরাক, এমভি ঈগল, এমভি রাফারফ, এমভি টুটুল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ঢাকা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত লঞ্চ ভাড়া 100 টাকা থেকে 2000 টাকা পর্যন্ত ক্যাটাগরি ভেদে। ঢাকা থেকে নৌপথে চাঁদপুর যেতে সময় লাগে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা।
এছাড়া ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পদ্মা এক্সক্লুসিভ বাস চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আবার চাইলে ঢাকা থেকে ট্রেনে চাঁদপুর যেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ঢাকা থেকে লাকসাম এসে তারপর চাঁদপুর যেতে হবে।
চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আঙ্গিকর ভাস্কর্যের দূরত্ব মাত্র ১.৫ কিলোমিটার। শহরের যেকোনো স্থান থেকে রিকশা বা অটোরিকশায় করে ভাস্কর্যটিতে পৌঁছানো যায়।

কোথায় থাকবেন

চাঁদপুর শহরে থাকার জন্য হোটেল গ্র্যান্ড ইলিশ অন্যতম সেরা হোটেল। এছাড়া চাঁদপুরে কোর্ট ষ্টেশনের কাছে ন্যায্য মানের আরো কিছু আবাসিক হোটেল পাবেন। চৌধুরী ঘাট বা নতুন ব্রিজের কাছে নদীর ধারে কিছু মাঝারি পরিসরের আবাসিক হোটেল রয়েছে।

কোথায় খাবেন

চাঁদপুরে ক্ষুধা মেটানোর জন্য বিভিন্ন মানের বিভিন্ন খাবারের হোটেল রয়েছে। আপনার পছন্দের যেকোনো হোটেলে খেতে পারেন। টাটকা ইলিশ খেতে চাইলে রেলস্টেশনের ঝুপড়ি কিংবা লঞ্চঘাটের হোটেলগুলোতে খোঁজ নিতে পারেন। এছাড়াও, আপনি ফরিদগঞ্জের আউয়াল ভাইয়ের মিষ্টি এবং এক মিনিটের আইসক্রিম ট্রাই করতে পারেন।
ফিচার ইমেজ: পরিত্যক্ত শাফকাত

Related Post

রূপসা জমিদার বাড়ি

রূপসা জমিদার বাড়ি

Rupsha Jomidar Bari (রূপশা জোমিদার বাড়ি) is located in Rupsha village of Faridganj upazila, an ancient town of Chandpur ...

শাফায়েত আল-অনিক

১৮ আগস্ট, ২০২৪

হযরত শাহরাস্তি মাজার চাঁদপুর

হযরত শাহরাস্তি মাজার চাঁদপুর

হযরত শাহরাস্তি মাজার চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে অবস্থিত। রাস্তি শাহ ১২৩৮ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের বাগদাদে ...

শাফায়েত আল-অনিক

১১ জুলাই, ২০২৪

হাজীগঞ্জ বড়ো মসজিদ

হাজীগঞ্জ বড়ো মসজিদ

চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জে অবস্থিত, শৈল্পিকভাবে নির্মিত হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড মসজিদ আয়তনের দিক থেকে উপমহাদেশের অন্যত ...

শাফায়েত আল-অনিক

১৩ আগস্ট, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp anytime or Call our Hotline (10AM - 10PM).