Harishchandra Path Palace

হরিশচন্দ্র পথ প্রাসাদ

Nilphamari

Shafayet Al-Anik

·

২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

হরিশচন্দ্র পথ প্রাসাদ পরিচিতি

হরিশচন্দ্র পথ হল নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের অন্তর্গত একটি প্রাচীন প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ। চরল কাটা নদীর দক্ষিণ তীরে প্রায় এক বিঘা জমিতে পাঁচটি বড় কালো পাথরের খণ্ডে ঘেরা জায়গাটি দূর থেকে একটি উঁচু মাটির ঢিবি বলে মনে হয়। এক সময় ঢিবির উচ্চতা ৫০-৬০ ফুট হলেও সময়ের সাথে সাথে এর উচ্চতা কমে ১০ ফুটে নেমে এসেছে। যদিও এটি প্রথাগত, তবে পাথরগুলি এভাবে ঢিবির মাটিতে ডুবে যায় এবং আবার উঠে যায়। পরোপকারী রাজা হরিশ্চন্দ্রকে নিয়ে বহু পালাগান, যাত্রাপালা রচিত হয়েছে। মৃত্যুর আগে রাজা হরিশচন্দ্র এই স্থানে একটি শিব মন্দির নির্মাণ শুরু করলেও তা সম্পূর্ণ করতে পারেননি। তার মৃত্যুর পর স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্যোগে মন্দিরের কাজ শেষ হয়। এখানে প্রাচীনকালে বেশ কিছু মূর্তি ছিল, যা আর নেই।
শিব মন্দির নিয়ে নানা ধরনের লোককথা প্রচলিত আছে। কথিত আছে যে কেউ যদি এই মন্দির ও এর আশপাশ থেকে এক টুকরো মাটি, ইট বা পাথর নিয়ে যায়, তবে সেই ব্যক্তির নাক-মুখ থেকে রক্ত ​​পড়ায় মৃত্যু হবে। বৃটিশ আমলে মন্দিরের সংস্কারের কাজ শুরু হলে সেই সময় কাজ করা ৮ জন লোক মন্দিরে প্রবেশ করলে মন্দিরের দরজা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনার পর খননকাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং মন্দিরের আর কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। প্রতি বছর শিবমন্দিরে ৩টি ধর্মীয় উৎসব জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়। মন্দির ছাড়াও হরিশচন্দ্র গ্রামে রাজা হরিশচন্দ্রের কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সড়ক ও রেলপথে নীলফামারী যাওয়া যায়। রাজধানীর কলেজগেট, গাবতলী ও মহাখালী থেকে নীলফামারীর সরাসরি বাস ছেড়ে যায়। এসব নন-এসি বাসের দাম পড়বে ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা। আর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ও চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে করে নীলফামারী যাওয়া যায়। ট্রেনের টিকিটের মূল্য জনপ্রতি 580-1996। ঢাকা থেকে কম সময়ে যেতে চাইলে অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সে সৈয়দপুর গিয়ে নীলফামারী পৌঁছানো যায়। নীলফামারী জেলা শহর থেকে বাস/সিএনজি/অটোরিকশাযোগে খুটামারা ইউনিয়নে অবস্থিত হরিশচন্দ্র পাথে যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন

নীলফামারী জেলার আবাসিক হোটেলগুলোর মধ্যে হোটেল প্রিমিয়ার, রনি ড্রিম, শিশির হোটেল, অবকাশ হোটেল, আর রহমান ও নাভানা রেস্ট হাউস উল্লেখযোগ্য।

কোথায় খাবেন

জলঢাকা উপজেলায় বৈশাখী হোটেল, রিমু হোটেল, হোটেল রানার মতো খাবারের হোটেল রয়েছে।

Related Post

রোমান ক্যাথলিক চার্চ নীলফামারী

রোমান ক্যাথলিক চার্চ নীলফামারী

উত্তরাঞ্চলের প্রথম এবং প্রাচীনতম রোমান ক্যাথলিক চার্চটি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থেকে 9 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গির্জাটি ...

শাফায়েত আল-অনিক

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

নীলসাগর নীলফামারী

নীলসাগর নীলফামারী

নীলসাগর নীলফামারী জেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক হ্রদ। নীলফামারী জেলা সদর থেকে নীলসাগরের দূরত্ব প্রায় ১ ...

শাফায়েত আল-অনিক

১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

কুন্দো পুকুর মাজার নীলফামারী

কুন্দো পুকুর মাজার নীলফামারী

ইসলামের মহান সাধক মহিউদ্দিন চিশতী (রহ.) এর মাজারটি নীলফামারী সদর উপজেলা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে কুন্ডু পুকুর ইউনিয়নে অবস্ ...

শাফায়েত আল-অনিক

২৬ নভেম্বর, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp (10AM - 10PM) or Email us.