Freedom Fighter Memorial Block Kurigram

মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ব্লক কুড়িগ্রাম

Kurigram

Shafayet Al-Anik

·

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ব্লক কুড়িগ্রাম পরিচিতি

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কুড়িগ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হামলায় শহীদদের স্মরণে কুড়িগ্রাম শহরের ঘোষপাড়ায় ফ্রিডম ফাইটার মেমোরিয়াল ব্লক (ফ্রিডম ফাইটার মেমোরিয়াল ব্লক) নির্মাণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পর সারা বাংলাদেশের পাশাপাশি কুড়িগ্রামের জনগণ পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ মার্চ কুড়িগ্রামের স্থানীয় পুলিশ, আনসার, ছাত্র ও ইপিআরদের নিয়ে একটি যৌথ বাহিনী গঠন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনীর মুখোমুখি গোলাগুলিতে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পরে পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকাররা কুড়িগ্রাম ছেড়ে লালমনিরহাট দখল করলে মুক্তিযোদ্ধারা কুড়িগ্রামবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
পাকিস্তানি বাহিনী লালমনিরহাট ও রংপুর ছেড়ে আবার কুড়িগ্রাম আক্রমণ করে। পাক হানাদার বাহিনী প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কুড়িগ্রামে প্রবেশ করে এবং বর্তমান সার্কিট হাউসের কাছে কুড়িগ্রাম সাব জেলের তৎকালীন জেল ইনচার্জ শেখ হেদায়েত উল্লাহসহ চারজন কারারক্ষীকে গুলি করে। শহীদ হন চার কারারক্ষী, লাল মোহাম্মদ, আনসার আলী, সাজ্জাদ হোসেন ও জহির উদ্দিন। পরে কুড়িগ্রামের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সংহতি নির্বাহী হারুনুর রশিদ লাল তার সহযোদ্ধাদের সহযোগিতায় শহীদদের দাফনের ব্যবস্থা করেন। কারাগারের ব্যারাকের পিছনে মূল কারাগারের প্রাচীরের পূর্ব পাশে চার কারারক্ষীকে এবং কারাগারের পশ্চিম প্রান্তে ইনচার্জ শেখ হেদায়েত উল্লাহকে সমাহিত করা হয়েছে। এই চার শহীদের নাম সম্বলিত সমাধি এবং কুড়িগ্রাম জেলায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে রয়েছে।

কিভাবে যাবেন

রাজধানী ঢাকার আসাদগেট, কল্যাণপুর ও গাবতলী থেকে নাবিল, হক স্পেশাল, হানিফ, হাসান এন্টারপ্রাইজ, তানজিলা ও এনার বাসে কুড়িগ্রাম যাওয়া যায়। বাস ভেদে ভাড়া পড়বে 950 থেকে 1400 টাকা। আবার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস বা রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে সরাসরি কুড়িগ্রাম যেতে পারেন। এই ট্রেনের টিকিটের মূল্য ক্লাস ভেদে ৬৪০-২,১৯৭ টাকা। কুড়িগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র 1 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফল পরিদর্শন করা যায়।

কোথায় থাকবেন

কুড়িগ্রাম শহরের ঘোষপাড়া ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছে বিভিন্ন মানের বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। আবাসিক হোটেলগুলোর মধ্যে হোটেল অর্ণব প্যালেস, হোটেল ডিকে, হোটেল স্মৃতি, হোটেল নিবেদিকা ও হোটেল মেহেদি উল্লেখযোগ্য।

কোথায় খাবেন

কুড়িগ্রামের শাপলা মোড়ে অবস্থিত নান্না বিরিয়ানি বা এশিয়া হোটেলের খাবার বেশ জনপ্রিয়। তিস্তা নদীর সিদল ভর্তা ও বৈরাটি মাছ কুড়িগ্রামের বিখ্যাত খাবার।
ফিচার ইমেজঃ রাশেদুল ইসলাম

Related Post

টুপামারী দীঘি কুড়িগ্রাম

টুপামারী দীঘি কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত শহরের একমাত্র পিকনিক স্পট টুপামারী দীঘি। টুপামারী পুকুরকে কেন ...

শাফায়েত আল-অনিক

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

কুড়িগ্রাম চান্দামারী মসজিদ

কুড়িগ্রাম চান্দামারী মসজিদ

চাঁদমারী মসজিদ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার মন্ডলপাড়ায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। রাজারহাট উপজেলা সদর থেকে চা ...

শাফায়েত আল-অনিক

৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

উলিপুর মুন্সিবাড়ী কুড়িগ্রাম

উলিপুর মুন্সিবাড়ী কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নে উলিপুর মুন্সী বাড়ীর অবস্থান। উলিপুর বাজার থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে ৩৯ একর ...

শাফায়েত আল-অনিক

২৮ নভেম্বর, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp (10AM - 10PM) or Email us.