Madhumati River Faridpur

মধুমতি নদী ফরিদপুর

Faridpur

Shafayet Al-Anik

·

৮ জুলাই, ২০২৪

মধুমতি নদী ফরিদপুর পরিচিতি

মধুমতি নদী বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মাগুরা, ফরিদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ এবং বাগেরহাটের উপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর একটি উপনদী। এটি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নে প্রবাহিত গড়াই নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে মাগুরা-ফরিদপুর জেলার সীমান্ত বরাবর প্রবাহিত হয়েছে, মধুমতি নামে নড়াইল নামে পরিচিত এবং খুলনা জেলার আঠারবেকি নামক স্থানে বাগেরহাট জেলায় প্রবেশ করেছে এবং বরিশাল হয়ে হরিণঘাটা মোহনার কাছে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। .
সর্পিল মধুমতি নদী 137 কিলোমিটার দীর্ঘ, 500 মিটার চওড়া এবং 10.5 মিটার গভীর। মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর, ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, নড়াইল জেলার লোহাগড়া ও কালিয়া, নড়াইল জেলার গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়া এবং বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট, চিতারছড়ি ও কচুয়া উপজেলাগুলো নদীর গতিপথের গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে মধুমতি সেতু। আর নদী অববাহিকায় চলছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নবগঙ্গা-মধুমতি সেচ প্রকল্প।
শুষ্ক মৌসুমে সবুজ মধুমতি নদীর পানি প্রবাহ কমে গেলেও বর্ষাকালে নদীর দুই তীরে পানি উপচে পড়ে। এক সময় সুন্দরবন অঞ্চলের বাওয়ালীরা এই নদী দিয়ে মধু সংগ্রহ করে বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করত। আর তাই স্থানীয় অনেকের মতে মিষ্টি পানি বা মধু বহনকারী এই নদীর নাম মধুমতি। নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পুরনো বাজার, দালানকোঠা, মন্দির, মসজিদ, মাছ ধরার পল্লীসহ অনেক জনপদ। এছাড়া মধুমতি নদীতে ইলিশ, বাচা, বাঘাইর, চিতল, চিংড়ি, বেলে, ইদ, রুই, কাতলসহ অনেক ধরনের সুস্বাদু মাছ পাওয়া যায়। আর নদী তীরবর্তী এলাকা অত্যন্ত উর্বর হওয়ায় ধান ও পাটসহ বিভিন্ন অর্থকরী ফসল উৎপাদনের জন্য খুবই সহায়ক।

কিভাবে যাবেন

রাজধানী ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে করে ফরিদপুর যাওয়া যায়। গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে কমফোর্ট লাইন, রয়্যাল পরিবহন, সূর্যমুখী পরিবহন, গোল্ডেন লাইন, আনন্দ পরিবহন, সাউথ লাইন, আজমেরী এন্টারপ্রাইজ ইত্যাদি বাসগুলো ঢাকা-ফরিদপুর রুটে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করে। মান অনুযায়ী বাস ভাড়া 400-500 টাকা পড়বে। এছাড়া ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ফরিদপুর পৌঁছানো যায়। ট্রেনের ভাড়া 305 থেকে 696 টাকা প্রতি সিট। মধুমতি নদীর একটি বড় অংশ ফরিদপুর জেলা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে ফরিদপুর জেলা শহর থেকেই এই নদীর সৌন্দর্য সবচেয়ে ভালোভাবে উপভোগ করা যায়।

কোথায় থাকবেন

ফরিদপুরে অবস্থিত বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের মধ্যে রয়েছে হোটেল সুন্দরবন, হোটেল পার্ক, লাক্সারি হোটেল, হোটেল রাজস্থান, জেকে ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল শ্যামলী, পদ্মা হোটেল এবং হোটেল সুপার।

কোথায় খাবেন

ফরিদপুরে রেইনফরেস্ট হোটেল, শাহী রেস্তোরাঁ, জাকির হোটেল এবং টেরাকোটার মতো খাবারের হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

ফরিদপুরের দর্শনীয় স্থান

ফরিদপুরের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে কানাইপুর জমিদার বাড়ি, পল্লী কবি জসীমউদ্দিনের বাড়ি, নদী গবেষণা কেন্দ্র, মথুরাপুর দেউল এবং পাত্রাইল মসজিদ।
ফিচার ইমেজ: ফয়সাল ইমরান

Related Post

সাতৈর মসজিদ ফরিদপুর

সাতৈর মসজিদ ফরিদপুর

ফরিদপুর জেলা সদর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর গ্রামে সুলতানি আমলের নয়টি গম্বুজ বিশিষ্ট সাতৈর মসজিদ অ ...

শাফায়েত আল-অনিক

২০ জুন, ২০২৪

কবি জসীমউদ্দিন হাউস

কবি জসীমউদ্দিন হাউস

পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। কুমার নদীর পাশে কবীরের বাড়িতে 4টি পুরাতন টিনে ...

শাফায়েত আল-অনিক

৩১ আগস্ট, ২০২৪

কানাইপুর জমিদার বাড়ি শিকদার বাড়ি

কানাইপুর জমিদার বাড়ি শিকদার বাড়ি

ফরিদপুর জেলায় শাসক জমিদারদের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। কানাইপুরের শিকদার বংশও ফরিদপুরের বিখ্যাত জমিদারদের মধ্যে অন্যতম। প্র ...

শাফায়েত আল-অনিক

৫ আগস্ট, ২০২৪

logo CholoZai

CholoZai is an easier hotel booking platform in Bangladesh, We are trying to making travel simple and accessible for everyone. Choose CholoZai for a hassle free hotel booking experience.

Need Help ?

We are Always here for you! Knock us on Whatsapp anytime or Call our Hotline (10AM - 10PM).